কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পাগলির বিল গ্রামের নিরীহ প্রবাসী নুরুল আলমের পাঠানো সমুদয় অর্থ, স্বর্ণালংকার নিয়ে তিন সন্তানের জননী কহিনুর খানম প্রিতি পরকীয়া প্রেমিক কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মাহমুদুল হক এর পুত্র মোঃ আরমানের হাত ধরে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২ টার সময় সবাই যখন জুমার নামাজে চলে গেছে তখন এই সুযোগে বাড়ি থেকে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ খবর শোনে ওমান প্রবাসী স্বামী নুরুল আলম এখন ওমানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পাগলিরবিল গ্রামের ঠান্ডা মিয়ার ছেলে নুরুল আলমের সাথে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া জামে মসজিদ এলাকার হাফেজ সৈয়দ হোসেনের মেয়ে কহিনুর খানম প্রিতি’র ২০০৮ সালে বিবাহ হয়।
বিয়ের পর নুরুল আলম ও কহিনুর খানম প্রিতি’র দাম্পত্য জীবনে ১ পুত্র এবং ২ কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেরই ছিল।নুরুল আলম পেশায় একজন কৃষক। তাই সে সংসারের সচ্ছলতা ফেরাতে ২০১২ সালে সালে ওমান ভিসা নিয়ে প্রবাসে চলে যায়। বাড়িতে রেখে যায় তার স্ত্রী কহিনুর কানম প্রিতি’ কে কন্যা তুসি (১৫) ও পুত্র আইমান (১৩ ) ও মনি (১১)। নুরুল আলম ওমান থেকে বাড়িতে বছর কয়েক পর পর আসা যাওয়া করতো সর্বশেষ চলতি বছরে জুনে সে আবার ওমানে চলে যায়।
এদিকে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে চলতে থাকে তাদের বসবাস এবং মেলামেশা। স্ত্রীর কথা বার্তা তার আচরণ মোবাইলের মাধ্যমে নুরুল আলম আঁচ করে এবং বুঝতে পারে পরকিয়া। স্ত্রী কহিনুর খানম মোবাইলে নুরুল আলম কে অশ্রাব্য ভাষায় গালি করে বিভিন্ন সময়ে তার সন্তান হত্যার হুমকি দিতে থাকে।
ওমান প্রবাসী নুরুল আলম জানান, আমাদের সংসার জীবনে তিনটি সন্তান রয়েছে। প্রবাসে থাকাকালে আমার যাবতীয় উপার্জনের টাকা আমি আমার স্ত্রীর কাছে পাঠাতাম। সে আমার নগদ ৭ লাখ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ন ও আমার এক ছেলে এবং দুই মেয়েকে আমাদের বাড়িতে রেখে পরকীয়া করে অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়েছে।
তিনি আরো জানান, সে এর আগে ও একবার আরমানের হাত ধরে পালিয়ে গিয়ে আরমান কে বিয়ে করেছিলো। আবার আরমান কে ডিভোর্স দিয়ে আমার ঘরে চলে আসলে আমি তিন সন্তান’দের দিকে তাকিয়ে তার সাথে আবার সংসার করেছিলাম।
স্থানীয় জাহেদুল ইসলাম রানা জানান, আমি যখন জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বাসার উদ্দেশ্য রওনা হয় পথে দেখি কহিনুর খানম প্রিতি’কে রাস্তায় কাপড়ের ব্যাগ সহ দেখি আমি তাকে সে কোথায় যাচ্ছে জিগ্যেস করলে সে আমার কথা না শোনার মত করে চলে যায়।
প্রবাসি নুরুল আলমের মাতা জুলেখা বেগম জানান,শুক্রবার জুমার নামাজে সবাই যখন মসজিদে গেছে, তখন সেই সুযোগে কোহিনুর বাসা থেকে বের হয়ে যায় হাতে কাপড়ের ব্যাগ ছিলো, আমি জিজ্ঞেস করলে সে তার বাবার বাড়ি একটা জরুরি কাজে যাচ্ছে সন্ধ্যায় চলে আসবে বলছে, পরে রাস্তায় দেখি সিএনজি একটার উপর ওঠে চলে গেছে।
এদিকে কোহিনূর খানম প্রিতি’র পালিয়ে যাওয়ার সময় ভুলবশত তার মুঠোফোন টি বাসায় রেখে চলে যায়। সেই মুঠোফোনের মেসেজের মাধ্যমে প্রবাসী নুরুল আলমের পরিবার জানতে পারে যে, কোহিনুর কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোঃ আরমান বাসা থেকে বের করে এবং ফাঁস হয় তাদের পরকিয়া প্রেম কাহিনি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত পরকিয়া প্রেমিক মোঃ আরমানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে উখিয়া থানা’র অফিসার ইনচার্জ আরিফ হোসাইন বলেন,আমরা অভিযোগ পেয়েছি,অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পাঠকের মতামত